বাড়িতে ব্যায়াম করার সময় পাচ্ছেন না। জিম’এ যাওয়ারও ধৈর্য নেই। এদিকে মধ্যপ্রদেশ ক্রমশ স্ফীত হচ্ছে! তবে উপায়? এক্সারসাইজ ছাড়া কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তার জন্য কিছু টিপস…
ব্যস্ত জীবনযাত্রায় সারাক্ষণ ছুটে চলার ফাঁকে এক্সারসাইজ করার সময় হয়ে ওঠে না কিছুতেই। কর্মরতদের কমন সমস্যা। পত্রপত্রিকা বা টেলিভিশনে ওজন কমানোর টিপ্সগুলো নোট করা সত্ত্বেও বাস্তবে আর করা হয়ে উঠছে না সেসব। এদিকে দিনে প্রায় আট-ন’ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার ফলে কোমরের চারপাশে মেদ জমছে! ওজন বাড়ার আনুষঙ্গিক সমস্যাগুলোও একে একে বাসা বাঁধছে শরীরে।
প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, শুধু ডায়েট করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হলেও তার জন্য চাই কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। অর্থাৎ যথাযথ ডায়েট মেনে চলা। ডায়েট মানে কিন্তু না খেয়ে বা কম খেয়ে থাকা নয় একেবারেই। ব্যক্তিবিশেষে ডায়েট আলাদা হবেই। তার জন্য অবশ্যই পরামর্শ নিন চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের।
ওজন কমানোর ৮০ শতাংশই নির্ভর করে ব্যালান্সড ডায়েটের উপর। বাকি ২০ শতাংশ এক্সারসাইজ। যখনই আপনি এক্সারসাইজ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবেন, তখন ১০০ শতাংশই নির্ভর করবে আপনার ডায়েটের উপর। যেখানে ক্যালরি ঝরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নেই, সেক্ষেত্রে ফুড ইনটেক, অর্থাৎ খাবার খাওয়ার উপরেই পুরো গুরুত্বটা দেওয়া প্রয়োজন।
কাজের শিডিউল যেমনই হোক না কেন, সারাদিন একটা নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করুন। কেউ সকাল ৬টায় ঘুম থেকে ওঠেন, কেউ ৯টায়। কিন্তু যখনই উঠুন, তার পর থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া-দাওয়া করুন। হঠাৎ করে লাইফস্টাইল বদলে ফেলা সকলের পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে। কিন্তু সময়মতো খাওয়া-ঘুম, এগুলো তো আপনারই হাতে।
প্রচুর পরিমাণে জল খান। শরীরকে হাইড্রেট করাটা খুব জরুরি। পারলে সকালে উঠে গরম জল খান। সঙ্গে একটু লেবু আর মধু। ফ্যাট বার্ন করার পাশাপাশি এটা শরীরের টক্সিন বার করতেও সাহায্য করে। ক্যালরিযুক্ত কোনও হেল্থ ড্রিংক খাওয়ার চেয়ে ফলের রসেই ভরসা রাখুন। যাঁরা লো-কার্ব, প্রোটিন ডায়েট মেনে চলছেন, তাঁরা প্রোটিন শেক খেতে পারেন।
ব্যালান্সড ডায়েটের জুড়ি নেই। মনে রাখবেন, শরীরে কিন্তু সব উপাদানেরই প্রয়োজন রয়েছে। তেলেরও। তরিতরকারি রান্নার সময় যেটুকু তেল দেওয়া হয়, সেটুকু শরীরে যাওয়া দরকার। সব সময় সবকিছু সেদ্ধ খাওয়ার অভ্যেস না করাই ভাল। অতিরিক্ত তেল যাতে শরীরে না যায়, সেটা খেয়াল রাখবেন।
অফিসে যাওয়ার সময় লিফ্ট ব্যবহার করা বন্ধ করুন। টিফিন-টাইমে আশপাশটা একটু হেঁটে আসুন। একটানা বসে কাজ করে যাবেন না। বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাওয়াই ভাল। ইদানীং অল্প করে বারে বারে খেতে বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। একবারে অনেকটা না খেয়ে কিছু সময় অন্তর চিড়ে, মুড়ি, চালভাজা, ছোলা দিয়ে মুখ চালান। কৌটোয় ভরে এগুলো ডেস্কে বা ড্রয়ারে রেখে দিতে পারেন। মাঝে মাঝে গ্রিন টি’তে গলা ভিজিয়ে নিন। চিনি ছাড়া চা খাওয়া অভ্যেস করুন।
ডায়েটের ক্ষেত্রে ইনভার্টেড ট্রায়াঙ্গল ফলো করতে পারেন। অর্থাৎ ভারী ব্রেকফাস্ট, হালকা লাঞ্চ এবং রাত ৯টার মধ্যে হালকা ডিনার। শোওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ (ফ্যাট ফ্রি) খেয়ে শুলে ভাল ঘুম হবে। ডিনার আর রাতে ঘুমনোর মাঝে অন্তত এক ঘণ্টা গ্যাপ দিন।
Leave a Reply